পহেলা বৈশাখ কবে ২০২৫ - পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য

বাংলাদেশের একটি আনন্দের উৎসব হল পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ বয়ে আমি নতুন বছরের সুভাষ। এবং নতুন বছরের মঙ্গলকামানার। তাই পহেলা বৈশাখ আমরা উদযাপন করে ঠাকি। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে পহেলা বৈশাখ কবে ২০২৫ - পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য সম্পর্কে।
পহেলা বৈশাখ কবে ২০২৫
এছাড়া পহেলা বৈশাখ কবে এটি জানা অনেক প্রয়োজন। আপনি যদি এটা না জানেন তাহলে আপনি ভালোভাবে পহেলা বৈশাখ পাবে সেটি জানতে পারবেন না এবং উদযাপন করতে পারবেন না। তা এটি জানার জন্য এ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ পহেলা বৈশাখ কবে ২০২৫ - পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য

পহেলা বৈশাখ কবে ২০২৫

আমরা অনেকেই জানি এখন বৈশাখ মাস। আরে বৈশাখ মাসে একটি বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ পালন করা হয়। আর এই দিনে অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেন। আবারো পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন ধরনের এবং কালারের পোশাক পরিধান করে থা পহেলা বৈশাখ কবে ২০২৫ কেন। ঘোরাঘুরি করার জন্য সর্বপ্রথম পহেলা বৈশাখের দিনটি ঠিক করতে হবে। পহেলা বৈশাখ কত তারিখে সেটা অনেকেই জানেনা।

আরো পড়ুন ঃ রাজশাহী থেকে গোদাগাড়ী কত কিলোমিটার - রাজশাহী টু সাফিনা পার্ক

আপনি যদি প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ পালন করে থাকেন তাহলে তাহলে এবারও আপনি এই পহেলা বৈশাখ উৎসবটি পালন করতে ইচ্ছুক বা আগ্রহী। তাই আপনিও যদি এ পহেলা বৈশাখের দিন নিয়ে অনেক আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে সর্ব প্রথম জানতে হবে পহেলা বৈশাখ কত তারিখে। তো চলুন জেনে যাক পহেলা বৈশাখ কবে ২০২৫ সম্পর্কে । 

১৪ এপ্রিল ২০২৫ এই তারিখে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হবে। আপনি যদি পয়লা বৈশা উদযাপিত করতে চান তাহলেই তার কে উদযাপন করতে পারেন। কারণ এদেরকেই বাংলাদেশ পহেলা বৈশাখ উজ্জাপিত হবে। এ তারিখে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হবে তাই এটার আগেই আপনারা পোশাক এবং বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘোরাঘুরির চিন্তাভাবনা আগে থেকে করে নিতে পারেন।

পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য

বাঙালির বৈশাখ মাসে একটি আনন্দের উৎসব হলো পহেলা বৈশাখ এই পহেলা বৈশাখে নানা রকম বাক্য তুলে ধরা হয়। এই পহেলা বৈশাখ নিয়ে দশটি বাক্য নিচে দেওয়া হল -

  • বাংলাদেশ ও আসামের একটি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি উৎসব
  • পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন
  • এই দিনে একটি গান দিয়ে এই উৎসবটি পালন হয় সেই গানটির নাম হল এসো হে বৈশাখ।
  • এদিনের ছেলে ও মেয়ে উভয়ে নানা রঙের পাঞ্জাবি ও শাড়ি পড়ে থাকে।
  • পহেলা বৈশাখ প্রতিবছর বাংলাদেশ ১৪ ে এপ্রিল আয়োজন হয়।
  • এই উৎসবে দোকানদাররা তাদের পুরনো খাতা খুলে হালখাতা উচ্চ আয়োজন করে।
  • পহেলা বৈশাখে নানারকম খেলাধুলা আয়োজন করা হয়।
  • এছাড়া এই মেলায় নানা রকম খেলনা ও মাটির জিনিস পাওয়া যায়। আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করে।
  • এই দিনে পান্তাইলিশ খাওয়ার প্রচলন অনেকদিন ধরে চলে আসছে।
  • পহেলা বৈশাখ নতুন বছর নিয়ে আলোচনা করা হয়।

পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ও শোভাযাত্রার ইতিহাস

১৯৭৮ সালে সর্বপ্রথম শুরু করা হয় । এটিএন নানা যুগ থেকে পালন করা হচ্ছে। তাই এটি এখনো বাংলাদেশের জনপ্রিয় উৎসব হিসেবে পালন করা হয়।১ এছাড় ১৮৮০ সাল থেকে এই পহেলা বৈশাখ উৎসবে গান শুরু করা হয় সেই গানটির নাম হল এসো হে বৈশাখ। এই গান দিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করা হয়। এই দিনে ঢাকা চার কলা উৎসব পালন করা হয়। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে এই উৎসবটি পালন করা হয়।

পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ রচনা

বাংলা নববর্ষ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় ও সার্বজনীন উৎসব।বাংলাদেশে বসবাসকারী সকল ধর্মের মানুষের এ এক মিলন উৎসব। বাংলা সনের প্রথম মাস বৈশাখএই বৈশাখ মাসের প্রথম দিন যাপিত হয় বলে বাংলা নববর্ষের অপর নাম,পহেলা বৈশাখ।শুধু বাংলাদেশ নয়।সারা বিশ্বের বাঙালিরা এই দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়।ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে। 

সবার কামনা থাকে যেন নতুন বছরটি সুখময় ও সমৃদ্ধ হয়।বাংলা নববর্ষের ইতিহাস এখনাে সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি।তবে অধিকাংশ ঐতিহাসিক ও পণ্ডিত মনে করেন মুঘল সমাট আকবর চান্দ্র হিজরি সনের সঙ্গে ভারতবর্ষের সৌর সনের সমন্বয় করে ১৫৫৬ সাল বা ৯৯৪ হিজরিতে বাংলা সন চালু করেন। বাংলা সন চালু হওয়ার পর নববর্ষ উদযাপনে নানা আনুষ্ঠানিকতা যুক্ত হয়। নবাব এবং জমিদারেরা খাজনা আদায়ের উদ্দেশ্যে চালু করেন 

আরো পড়ুন ঃ আবাসিক হোটেল ভাড়ার নিয়ম - মিরপুর আবাসিক হোটেল ভাড়া কত 

জমিদারি না থাকায় এখন তা লুপ্ত। পহেলা বৈশাখের দ্বিতীয় বৃহৎ অনুষ্ঠান ছিল হালখাতা।এদিনে গ্রাহকেরা দোকানিদের বাকির টাকা মিটিয়ে দিতেন।তবে বর্তমানে বাংলা নববর্ষের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলাে বৈশাখী মেলা। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশাখী মেলা উদযাপিত হয়,ঢাকার রমনার বটমূলে বসে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বৈশাখী মেলা।

এখানে লাখাে মানুষের সমাবেশ ঘটে।মঙ্গল শােভাযাত্রার মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পুরাে এলাকা জুড়ে বহুবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত হয়।অন্যদিকেগ্রামাঞ্চলে যে মেলা হয় তাতবিশেষভাবে স্থান পায় কবিগান কীর্তন যাত্রা।গম্ভীরা গান পুতুল নাচ নাগরদোলাসহ নানা আনন্দ আয়ােজন।

বাংলাদেশে বসবাসকারী আদিবাসীরাও তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে বর্ষবরণ করে। তাদের এই উৎসবকে  বাংলা নববর্ষে পান্তা ও ইলিশ মাছ খাওয়া শহরবাসী বাঙালিদের ফ্যাশনের বিষয় হয়ে উঠেছে ।বস্তুত বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান উৎসব। এদিনে বাঙালি নিজস্ব সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। শুধু বছরের প্রথম দিন নয়।

সারা বছর ধরে যদি বাঙালি এই আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সচেষ্ট হয় তবে বাঙালি সংস্কৃতি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংস্কৃতিতে পরিণত হবে।আর বাংলা নববর্ষ হবে সেই সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রধান উৎসব বাংলা নববর্ষ অনুচ্ছেদটি কেমন হয়েছে ।নতুন কিছু সংযোজন করা যায় বা বাদ দেওয়া প্রয়োজনক।

পহেলা বৈশাখ ইতিহাস

পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনেক আগে থেকে হয়ে আসছে। এর পেছনে অনেক ইতিহাস রয়েছে এটি প্রায় মুঘল সাম্রাজ্য থেকে প্রচলন রয়েছে।আপনি যদি প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ পালন করে থাকেন তাহলে তাহলে এবারও আপনি এই পহেলা বৈশাখ উৎসবটি পালন করতে ইচ্ছুক বা আগ্রহী। তাই আপনিও যদি এ পহেলা বৈশাখের দিন নিয়ে অনেক আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে সর্ব প্রথম জানতে হবে পহেলা বৈশাখ কত তারিখে। এর ইতিহাস অনেক গভীর। সর্বপ্রথম ১৫৫৬ সালে এটি উদযাপিত হতে থাকে।

পহেলা বৈশাখ উদযাপন

বাঙালের প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ পহেলা বৈশাখ নানা অঞ্চলে বিভিন্নভাবে উদযাপন করা হয়। এটি অঞ্চল ভেদে আলাদা হতে পারে।বাংলাদেশে বসবাসকারী আদিবাসীরাও তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে বর্ষবরণ করে। তাদের এই উৎসবকে  বাংলা নববর্ষে পান্তা ও ইলিশ মাছ খাওয়া শহরবাসী বাঙালিদের ফ্যাশনের বিষয় হয়ে উঠেছে ।বস্তুত বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান উৎসব। এদিনে বাঙালি নিজস্ব সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। শুধু বছরের প্রথম দিন নয়।

সারা বছর ধরে যদি বাঙালি এই আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সচেষ্ট হয় তবে বাঙালি সংস্কৃতি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংস্কৃতিতে পরিণত হবে।আর বাংলা নববর্ষ হবে সেই সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রধান উৎসব বাংলা নববর্ষ অনুচ্ছেদটি কেমন হয়েছে ।নতুন কিছু সংযোজন করা যায় বা বাদ দেওয়া হই।

পহেলা বৈশাখ কবে ২০২৫ - পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য শেষ কথা ঃ

বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলের মূল আকর্ষণ পহেলা বৈশাখ কবে ২০২৫ - পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য। আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনার মনে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকবে না। 

আরো পড়ুন ঃ দর্শনীয় স্থান বাংলাদেশ - বাংলাদেশের ৫৫ টি দর্শনীয় স্থান

কারণে আর্টিকেলটা একদম স্পষ্টভাবে লেখা হয়েছে।এরপরও যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানতে পারেন।

এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত বিভিন্ন তথ্যমূলক আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়। আমি তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে ভালোবাসি। আপনি কি পড়তে ভালোবাসেন। আপনি যদি নিয়মিত তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে ভালোবাসেন তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url